শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাটপ্রতিনিধি।।
লালমনিরহাট জেলায় করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ায় জেলা শহরে চলছে বিশেষ লকডাউন। শনিবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের আজ ৫ম দিন। লকডাউনে জেলা প্রশাসনের প্রজ্ঞাপনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যে কারনে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
এদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউন থাকা সত্বেও প্রশাসনের সে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবজিও আশা জোড় করে কিস্তি আদায় করছে। লক ডাউনের কারনে কাজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঋন গ্রহীতারা। তার পরেও জোড় পুর্বক আশা সমিতি কিস্তি আদায় করছে।
খোজ নিয়ে যানা যায়, জেলা প্রশাসন ঘোষিত লকডাউনের কারনে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে সকল এনজিওকে ঋন কার্যক্রম স্থগিত করতে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। অথচ সে আদেশ কোনভাবেই মানতে নারাজ এনজিও আশা সমিতি। তাই আশা সমিতিকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
তাদের এতই ক্ষমতা লালমনিরহাট জেলায় গত শনিবার থেকে লকডাউন ঘোষনা করার দিন থেকে জেলা প্রশাসনের সে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৩০ জুন সকাল পর্যন্ত পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে আশা সমিতির মাঠ কর্মীদের কিস্তি আদায়ের দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এতেই জেলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঋন গ্রহিতা সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভায় লকডাউনের কারনে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আমাদের কোন কর্ম নাই। আপনারাই বলুন কিভাবে আমরা এই আশা সমিতির কিস্তি দিবো। তারা নাছোর বান্দা কিস্তির টাকা না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ীতে বসে থাকে। লোক লজ্জার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এর পরেও মোবাইল ফোনে কল করে কিস্তি দাবি করে বলা হচ্ছে আজ কিস্তি না দিলে সমিতির সদস্য থেকে বাদ দেয়া হবে। আর কোনদিন এই সমিতির সদস্য হতে পারবে না এবং আশা সমিতি থেকে কোন প্রকার ঋনও দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়।
আশা সমিতির জেলা মানেজারের সাথে স্থানীয় এক টিভি সাংবাদিকের নামের সাথে মিল থাকায় তিনি জেলা প্রশাসনকে ভয় পান না বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে কয়েক জন সাংবাদিক আশা সমিতির অফিসে গিয়ে জেলা ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলামকে লকডাউনে কিস্তি আদায় নিষেধ থাকার পরেও আপনার এই আশা সমিতির কর্মীরা কেন মাঠে গিয়ে কিস্তি আদায় করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম নির্দেশনার কোন চিঠি আমি পাইনি। তাই আমাদের এই এনজিও’র আশা সমিতির কিস্তি কার্যক্রম চালু রেখেছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে জেলায় লকডাউনের কারনে সব রকম কার্যক্রম বন্ধ,
সেখানে এনজিও কর্মীরা কিভাবে কিস্তি আদায় করছে। তিনি আরও বলেন আমি একটা মিটিং এ আছি মিটিং শেষে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।