রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ ১ মে, মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় ও জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করার ডাক দেয় দিনটি। আজকের আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হলো মেহনতি মানুষের নিরলস পরিশ্রম। হাজার বছর ধরে শ্রমজীবী মানুষের রক্ত-ঘামে যে মানবসভ্যতার উৎকর্ষ সাধন হয়েছে, তার সুফল থেকে সেই শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীই থাকছে উপেক্ষিত। এমন প্রেক্ষাপট ছিল ১৩৮ বছর আগেও। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে
১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বজুড়ে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তৈরি পোশাক খাত এবং অন্যান্য খাতের শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এদিন একত্রিত হন। সরকার ও মালিকদের প্রতি দাবি জানান কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শ্রম পরিস্থিতি উন্নতির। একইভাবে সরকার এবং কারখানা মালিকরাও দিবসটিকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালন শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এক শুভেচ্ছা বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কাজের পরিবেশ নিরাপদ এবং তাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলোয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে।
আজ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলো জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি পালন করবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শ্রমিক জনসভা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।