রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী প্রতিনিধি নূরুন নবী :
উচ্চ আদালত থেকে রাজশাহী-১ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রিটাার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় তাকে বেলুন প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রতীক পেয়েই নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন তিনি।
ডালিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মীনি। এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। শেষে উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে আয়েশা আক্তার ডালিয়াকে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে বেলুন বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এরপর জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোদাগাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন ডালিয়া।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েশা আক্তার ডালিয়া বলেন, আমি রাজশাহী-১ আসনে বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। ১২ বছর ধরে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অবহেলিত এই অঞ্চলে কাজ করছি। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আমার শক্তি।
তিনি আরও বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পিছিয়ে গেছি। আমার মাঠ তৈরি করা আছে চার বছর থেকে। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। যাদের জন্য কাজ করেছি, যাদের ভালোবেসেছি মায়া-মমতা দেখিয়েছি, যারা আমাকে ভালোবেসেছেন তারা আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে নিয়ে আসবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডালিয়া বলেন, আমি সবসময় ইউনিক কাজ করতে পছন্দ করি। গতানুগতিক ধারার রাজনীতি করি না। জনগণের কাছে যেতে তাদের অন্তরে প্রবেশ করতে পছন্দ করি। একদম সাধারণ জনগণ বলতে গেলে পা ফাটা হতদরিদ্র মানুষগুলো আমার শক্তি। তাদের আমি ভালোবাসি। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের আগামী পাঁচ বছরে কে তাদের মাথার ওপর ছায়া হয়ে থাকবেন।
পরে সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন এবং বেলুন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।