শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
সঞ্জয় ঘোষালঃ নতুন মহাসাগরের সন্ধান মিলল পৃথিবীর বুকে। বিজ্ঞানীরা আবার নতুন আবিষ্কারে চমকে দিল বিশ্ববাসীকে। কিন্তু এই আবিষ্কার কতটা উপযোগী হবে মানব সভ্যতার জন্য, তা জানতে বিজ্ঞানীরা বসে নেই। নিত্যনতুন আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণার ক্ষেত্রটাও বেড়ে যাচ্ছে গবেষক তথা বিজ্ঞানীদের জন্য।
পৃথিবীতে নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার যেমন হয়েছে, তেমনই আস্ত একটা মহাসাগরও এবার করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। তাহলে কি পৃথিবীর বুকে জলের ভাগ বাড়ল, নাকি জলের ভাগ একই রইল। অর্থাৎ ভূ-ভারতে ৭০ ভাগ জল ৩০ ভাগ স্থল। এখন নয়া আবিষ্কারে জলের ভাগ বাড়বে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলেন, বিশ্বের ৭০ ভাগ জলের ৯৬.৫ শতাংশই সমুদ্র বা সাগরের। কিন্তু পৃথিবীতে কতগুলি সমুদ্র বা কতগুলি মহাসাগর রয়েছে, তা নিয়ে ভিন্ন মত থাকলেও নয়া আবিষ্কার নিয়ে বিতর্ক আরো বেড়ে গিয়েছে। তাই বিজ্ঞানীদের একটা বড়ো অংশ মনে করেন, পৃথিবীতে একটাই মহাসাগর রয়েছে।পৃথিবীতে যে অংশ জুড়ে মহাসাগর রয়েছে, তার পরিমাণ ৭১ শতাংশ। পৃথিবীর ৩৬১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার আয়োতন জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। তবে প্রথম থেকেই ধরা হয় পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে। তা হল- প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর ও আন্টার্কটিক মহাসাগর।ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি আন্টার্কটিকার হিমশীতল জলের মধ্যে একটি দক্ষিণ মহাসাগর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন মহাসাগরের আবিষ্কার কি মানব সভ্যতার জন্য ভালো সংকেত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ৯৮ সদস্য রাষ্র্যকে নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন দক্ষিণ মহাসাগর নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।বিজ্ঞানীরা জানান, মহাসাগরের সংখ্যা যত বাড়বে, ততই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আর এই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার অর্থ কোথাও ভালো প্রভাব পড়বে, কোথাও খারাপ প্রভাব পড়বে। জয়বায়ুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য বলে জানান পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
অর্থাৎ নতুন মহাসাগর পৃথিবীর জন্য যে খারাপ হবে, তা বলা যায় না। কিন্তু নতুন মহাসাগর আবিষ্কার যদি জলস্তর বৃদ্ধির সহায়ক হয়, তবে তা হবে বিপজ্জনক। তা হলে পৃথিবীর বিপর্যের সম্ভাবনা বাড়বে। এমনিতেই বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলস্তর বাড়ছে। ফলে নতুন মহাসার তার সহায়ক হয়, নাকি এই জলস্তর বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করে বিশ্বকে তাই দেখার। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।