বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
মোঃ শিহাব উদ্দিন ,(গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি): গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের খেলনা গ্রামের এনামুল মোল্লা তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে অত্যাচার করতে দেখে একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শুভ চাচিকে বাঁচাতে গিয়ে আজ এই হামলার শিকার গ্রামবাসী। সরেজমিনে গেলে জানা যায়, গত রবিবার ১৯শে আগস্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটায় হামলার শিকার হন এলাকাবাসী। আরো জানা যায়, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্ন ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগীদের গন্ডগোল করতে নিষেধ করলে তার থেমে যায় অপরদিকে রাসেল বাহিনীকে তারা সামাল দিতে না পারায় এই হামলা ও লুটপাটের সৃষ্টি হয়। হামলায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুজাহিদকে বর্তমানে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনাতে আছেন।হামলায় আরো আহত হন হানিফ শেখের ছেলে লুৎফর শেখ, বাদশা শেখের ছেলে রিয়াজুল শেখ ও আরিফুল শেখ বর্তমানে তার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা বলেন, এই এলাকার মেয়ে হেলেনা নাজমুন্নাহার বর্তমানে তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ২৫,২৬,২৭,নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর দায়িত্বরত আছেন সে প্রায়ই এলাকায় এসে ক্ষমতা জাহির করার লক্ষ্যে এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে মদদ দেয়। এ ব্যাপারে শামসুন্নাহার নামক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মৃত ফরিদ শেখ এর ছেলে পরাজিত মেম্বার রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের উপর হামলা হয় তারা আমাদের বাড়িঘর কুপিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে সকল কিছু লুট করে নিয়ে যায় সেই সাথে তারা আমার ফার্মের মুরগী গুলো নিয়ে যায় তারা। এ ব্যাপারে একই গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, আমার ভাতিজা ইয়াসমিন বেগমের উপর অত্যাচার সহা করতে না পেরে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিল। এটা কোন কারণ না ওরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা করেছে। আমাদের বিপক্ষের পরাজিত মেম্বার রাসেল শেখ ও তার ভাঙ্গিনারা গোপালগঞ্জ থেকে এসে একত্রিত হয়ে আমাদের উপর এই হামলা। ওরা হামলার সাথে সাথে ঘর বাড়ি লুটপাট, খামারের মুরগি নিয়ে যাওয়া ও আমাদের নিরীহ কয়েক জনকে কুপিয়ে আহত করে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্ন ব্যক্তিদের সামনে। তাদেরই কারণে আজ আমাদের উপর এই হামলা লুটপাট করতে পেরেছে সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর লোকজন। এ ব্যাপারে বর্তমান মেম্বার তুহিন শেখ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সন্ত্রাসী হামলার আগের দিন রাতে দুপক্ষের মাঝে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে আমাদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জ থানায় খবর দেন থানা থেকে লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গন্ডগোল না করার জন্য বলে জান। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার পরের দিন সকাল দশটায় সাজ সজ্জিত হয়ে এই হামলা ও লুটপাট করেন।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের আসনের এম,পি জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাই সহ প্রশাসনের কাছে এই হামলার ব্যাপারে দৃষ্টিদান সহ বিচারের আহ্বান করছি।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।