বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইউসুফ খাঁন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ইয়াস (উপ-পরিচালক)
নীলফামারীরকিশোরগঞ্জ, এখন ইঁদুর কপালিদের আমন ধান কাটা মাড়াই প্রায় শেষ,ফসল শুন্য মাঠে দল বেধে।
বৃদ্ধ শিশু-কিশোর মাটি খুঁড়ছে, তার কোন গুপ্তধন পাওয়ার আশায় নয। মাটি খুঁড়ে ওরা ইঁদুরের গর্তে থাকা ধান সংগ্রহ করছে,ইঁদুরে গর্তে পাওয়া ধানের পুঁজি দিয়ে এসব ইঁদুর কপালী বয়স্ক বিধুবা-স্বামী।
পরিত্যক্তা,কেউবা শীতের পিঠা কেউবা মুড়ি বিক্রি করে সংসার অভাব জয় করেছে। ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহের এমন দৃশ্য এখন চোখে পড়ে,নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার দিগন্ত ভরা বিভিন্ন ফসলে মাঠে,প্রতি বছর আমনধানের মৌসুমে বেড়ে যায় ইঁদুরের উপদ্রব, ইঁদুর ধানের শীষ কেটে নিয়ে ভবিষ্যতে খাদ্য হিসাবে গর্তে মজুত রাখে,বাতাসে আমন ধানের মাটিতে পড়ে যায় বলে ইঁদুর এ ধান বেশী সংগ্রহ করে,পড়ে যাওয়া ধান ক্ষেতের আইলে ইঁদুর গর্ত তৈরী করে প্রচুর ধান জমিয়ে রাখে। ইঁদুরের আয় পিপীলিকা শীতের খাদ্য সঞ্চয় সংগ্রহ যেমন একই সূত্রে গাঁথা তেমনি নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা এর ব্যকিক্রম নয়। ইঁদুরের গর্তেও মাঠে পরিত্যক্ত ধানের শীষ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন ধানের বিলের পরিবারের নারী পুরুষ-শিশু কিশোরী প্রতি বছরে ন্যায়ে ও বছর ও ব্যস্ত সময় পার করেছে এ মাঠে নামা অধিকাংশ শিশু কিশোরেরা অনেকেই বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওরা ধান সংগ্রহ করে, শীতের পোশাক লেখাপড়ার খরচসহ পারিবারিক সাহায্যের অংশীদারিত্ব হিসাবে ওদের সংগ্রহীত ধানে দুই তিন মাসে খাবারের সংস্থান হচ্ছে। সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ প্রান্তরে ঘুরে দেখা গেছে ধান কুরানিরা হাতে ব্যাগ,ঘারে বস্তা,পিপীলিকার মতো দলবল ছেড়ে আগামীর সঞ্চয় সংগ্রহে যেন সংগ্রামী যোদ্ধা এ সময়, সদর ইউনিয়নের পুশনা নয়াবাড়ী গ্রামের দিন মজুর নজরুল জানান,ধান কাটা শেষ হলে, ইঁদুরের গর্তে ধান ও ধানের শীষ সংগ্রহের জন্য সকলে আমরা দল বেধেঁ বের হয়,বিকালে বাড়ীতে ফিরি।
ইঁদুরের কোন গর্তে ধান আছে আমরা দেখলে টের পাই।এরই মধ্যে কোন গর্তে ধান থাকেনা। আবার ভাগ্য ভাল হলে এক গর্ত থেকে ছয় সাত কেজি ধান পাওয়া যায়,গাড়া গ্রাম ইউনিয়ন কূষক দিপু জানান।
আমন ধান কাটার পর দরিদ্র কূষক পরিবারের নারী-পুরুষ শিশু কিশোর এক যোগে ধান সংগ্রহের নেমে পড়ে। ধান পরিবহনের সময ধান পড়ে যায়। এছাড়া ইঁদুর গর্তের প্রচুর ধানের শীষ জমিয়ে রাখে।
এভাবে অনেক পরিবার ৬থেকে ১০ মন ধান সংগ্রহ করে থাকে। তিনি আর জানান, আমরা ধান কুড়ানিদের বাধা দেইনা। পরিত্যক্ত ধান অপচয় রোধে ধান কুড়ানিদের উতসাহিতকরা হয়। এক দিকে পরিবার গুলোর খাবারের সংস্থান হচ্ছে অন্যা দিকে অপচয় বোধ হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি অভিসার হাবিবুর রহমান জানান,এলাকার ধান কাটার পর দরিদ্র লোকজনের ধান কুড়ানো এবং ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।প্রতি বছর ইঁদুর ধান অভিযান ও কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ক্ষেতে ইঁদুরের সংখ্যা অনেক আংশে কমে গেছে এতে ইঁদুরের গর্তে আগের মতো বেশী ধান পাওয়া যায় না।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।