বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
মোঃ ইউসুফ খান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ইয়েস (উপ-পরিচালক)
দেশের সিংহভাগ আগাম আলু চাষের রোল মডেল উপজেলা আর এ উপজেলা কৃষক এখন আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আগাম আলুতে আশানু রূপ ফসল না পেলেও বেশি দামে বিক্রি করায় কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক। বাড়তি খরচ ছাড়াই মাঠের আলু মাঠেই বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
চলিত বৎসরে আলুতে লস্কো কান্ড সহ নানা ঝাক্কি ঝামেলা কাটিয়ে মাঠের পরে মাঠ চাষ বাদ হয়েছে আগাম আলু। এক সময়ের অনাবাদি ধু-ধু বালুময় প্রান্তার এখন উবর ভূত মিতে পরিণত হয়ে সে জমিতে বুলন কূত চোখ ধাঁধানো আগাম আলুর ক্ষেতে সবুজ সমা রোহের মাঝে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপন কৃষক তথা কৃষি শ্রমিক আর কৃষি বান্ধব সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে দু- দশক থেকে আগাম আলুর চাষ করে এক সময়ের মঙ্গ কবলিত পিছিয়ে পড়া জনপদে পরিণত হয়েছে। মঙ্গার সাথে আদৌ পরিচিত নন নতুন প্রজন্ম। আর কয়েক দিন গেলে মহা ধুমধাম উৎসবের মুখর পরিবেশে শুরু হবে আলু উত্তোলন এর কাজ।
ইতি মধ্যেই ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে মৌসুমী আলু ব্যবসায়ী গনের পদ চারণার ভিড়ের মুখরিত হয়ে উঠেছে আলুর ক্ষেত। কৃষকরা জানান, যে আগাম আলু লাগানো হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। উঁচু জমিতে আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই এর পরপরই লাগানো হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আলু। এই আলু উত্তোলন এর পরপরই আবার ও বাড়তি খরচ ছাড়াই আলুর পাশাপাশি সাথী হিসেবে ভুট্টো, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচামরিচ সহ শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়।
উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আগাম আলু চাষী শফিকুল ইসলাম স্বপন জানান, বরাবরই আগাম আলুতে ভালো লাগবান হাওয়ায় এবারও ১০০ শতাংশ জমিতে আগাম আলু রোপন করেছেন ইতি মধ্যে ৪৫ শতাংশ জমির আলু ৩০ হাজার টাকা খরচ ৫০ হাজার টাকা আয় করেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।