শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আন্দোলনকারীরের পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরা-আজমপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
একইসঙ্গে হাসপাতালটিতে আহত হয়ে আরও শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ওই ছাত্র নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ নিয়ে গেছেন।
অধ্যক্ষ জানান, শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে আসেন। তাদের অনেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের বাংলাদেশ আই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে গেছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহদের মধ্যে যারা গুরুতর, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।